এত ভালো শুরুর পর টুর্নামেন্টের শেষটায় এসে একরাশ হতাশা বাংলাদেশের। ফাইনালে যে শ্রীলঙ্কার কাছে পাত্তাই পেল না মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। শুধু তাই নয়, সাকিবের টুর্ণামেন্ট সেরার পুরস্কারও যেন একপ্রকার ছিনিয়ে নেওয়া হল। উইকেট দিক দিয়ে থিসারা পেরেরা সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হলেও সাকিব নিয়েছেন ৯ উইকেট, যা টুর্ণামেন্টের তৃতীয় সেরা।
শুধু তাই নয় ব্যাট হাতেই সাকিবের অলরাউন্ড পার্ফরম্যান্সের দৃষ্টান্ত দেখা গেছে। ব্যাট হাতে ১৬৩ রানে টুর্ণামেন্টের তৃতীয় সেরা থাকার পাশাপাশি ম্যাচ সেরা হয়েছেন পর পর দুই ম্যাচ। যা এই সিরিজে অনন্য সেরা পার্ফরম্যান্স। তবে টানা তৃতীয় ম্যাচে ম্যাচ সেরা হওয়ার কথা থাকলেও তামিমকে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার দেওয়া হয়। তাছাড়া ফিল্ডিংও ছিল সাকিবের দেখার মত।
এত কিছুর পরও এক প্রকার সিরিজ সেরার পুরষ্কার সাকিবের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে শিরোপা জেতায় লঙ্কানরা ট্রফির সঙ্গে বাকি দুটি বড় পুরস্কারও তাই নিজেদের ঝুড়িতে পুরেছে। ফাইনালে ম্যাচসেরা হয়েছেন দলটির ওপেনার উপুল থারাঙ্গা আর টুর্নামেন্টসেরা অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা।
ফাইনালে ৫৬ রানের এক ইনিংস খেলেও ম্যাচসেরা হয়ে গেছেন উপুল থারাঙ্গা। দল না জেতায় বাংলাদেশের মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৭৬ রানের ইনিংসটি গেছে বিফলে।
টুর্নামেন্টে ৫ ম্যাচে ১৪৪ রানের সঙ্গে সর্বোচ্চ ১১ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হয়েছেন থিসারা পেরেরা। অথচ সাকিব আল হাসানেরও নামের পাশে ৯ উইকেট ছিল। রান তো পেরেরার চেয়েও বেশি, ১৬৩। দল না জিতলে তো সবই বৃথা!